ঘোষকাঠী মহাবিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল - ১৯৯৮ খ্রিঃ


  • আমাদের সম্পর্কে
  • ঘোষকাঠী মহাবিদ্যালয়, পিরোজপুর জেলাস্থ নাজিরপুর উপজেলাধীন ঘোষকাঠী নামক প্রত্যন্ত গ্রাম এ অবস্থিত। বেলুয়া নদীর তীরে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে এই ইন্টারমিডিয়েট কলেজটি প্রতিষ্ঠিত । প্রাক্তন-ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষানুরাগী, দাতা প্রয়াত মনোরঞ্জন হালদার তার অনুন্নত এলাকার উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার সাথে শিক্ষার উন্নতির লক্ষ্যে মনোরঞ্জন বিদ্যানিকেতন নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯৭২ সালে এই প্রক্রিয়ার পাশাপাশি, তিনি নিজের আর্থিক প্রচেষ্টায় "রাইচরণ মহাবিদ্যালয়" নামে একটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এই মহতী কর্মে এই এলাকার কিছু সমসাময়িক শিক্ষাবিদ, যেমন- বিশ্বনাথ ওঝা (শিক্ষক), ড. ধীরেন্দ্র নাথ হালদার, দীনবন্ধু হালদার (শিক্ষক), ননী গোপাল সিংহ (শিক্ষক), ডাঃ ধীরেন্দ্র নাথ সিকদার, মহেন্দ্র নাথ সুতার প্রমুখ তাঁকে নিরলসভাবে অনুপ্রাণিত করেন। ওই কলেজ থেকে প্রায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী এক বছর সেন্টার পরীক্ষাও দিয়েছিলো। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর কোনো এক অজানা কারনে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর, তৎকালীন পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন হালদারের জামাতা অ্যাডভোকেট শুধাংশু শেখর হালদার মহাবিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় উদ্যমী যুবক, শিক্ষানুরাগী বাবু সুষেন কুমার হালদার, নির্মল হালদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মহাবিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসেন। এরপর মনোরঞ্জন হালদারের একমাত্র উত্তরাধিকারী বাবু উজ্জ্বল দীপ হালদার কলেজের জন্য কিছু জমি দেন। সেই জমিতে ১৯৯৮ সালের ২১শে এপ্রিল ‘ঘোষকাঠী মহাবিদ্যালয়’ নামে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল কর্তৃক ১লা এপ্রিল, ২০০০ তারিখে কলেজটি স্বীকৃতি পায়। চার বছর পর ১লা মে, ২০০৪ তারিখে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) লাভ করে। উল্লেখ্য, প্রয়াত মনোরঞ্জন হালদার এর কন্যা  ও প্রয়াত শুধাংশু শেখর হালদারের স্ত্রী, প্রাক্তন মহিলা সংসদ সদস্য সাধনা রানী হালদারও কলেজের জন্য কিছু জমি দিয়েছেন। ভাঙ্গা অবকাঠামো হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি একদল তরুণ ও উদ্যমী শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রমের সাহায্যে গৌরবময় ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এখানে কিছু বছরের পাবলিক পরীক্ষার পাসের হার উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন ২০১০ (৮৬.৭৬%), ২০১১ (৯৭.৩০%), ২০১২ (৯৮.৮৮%)। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল এর অধীনে মেধা তালিকা অনুযায়ী ১৮ তম স্থান অর্জন করেছে।

  • কপিরাইট © 2024 ঘোষকাঠী মহাবিদ্যালয় সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত.
    ডেভেলপ করেছে  স্কিল বেসড আইটি